বিজেপির মিথ‍্যাচারের বিরুদ্ধে সরব ধনিয়াখালির বিধায়ক মন্ত্রী অসীমা পাত্র

10th June 2020 7:14 pm হুগলী
বিজেপির মিথ‍্যাচারের বিরুদ্ধে সরব ধনিয়াখালির বিধায়ক মন্ত্রী অসীমা পাত্র


নিজস্ব সংবাদদাতা ( ধনিয়াখালি ) : রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির মিথ্যা অপ্রচারের বিরুদ্ধে সরব হলেন ধনেখালি বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অসিমা পাত্র। এদিন মহেশ্বরপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিধায়ক। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত প্রধান সহ দলীয় নেতৃত্ব। কোবিদ মোকাবিলা ও আমফান নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি যে ভাবে বাংলাকে বঞ্চনা ও অপমান করছে, তা নিয়েই এই সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। রাজ্যের দূর্গত ও ক্ষতিগ্রস্হদের জন্য রাস্তায় নেমে মুখ্যমন্ত্রী যে ঝড় সামলেছেন, তখন বিজেপি দল রাজনীতির নাটক করছে। রাজ্যের ১০কোটি মানুষের জন্য কেন্দ্রের মোদী সরকার ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছে ত্রাণ সাহায্য। তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। তিনি আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নীতি আদর্শে ধারে কাছে নেই মোদী আর তার দল বিজেপি। মানুষের কাছে না গিয়ে শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের সততার সার্টিফিকেট দিচ্ছে। কিন্তু রাজ্যের মানুষ এই কঠিন পরিস্থিতি দেখেছে, যে কিভাবে তৃনমূল কংগ্রেস দল দূর্গত মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অতএব বিজেপি দলের সাথে হাত মিলিয়ে সিপিএম-কংগ্রেস দল যতই মিথ্যা-কুৎসা-অপপ্রচার করুক, আগামীদিনে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে তৃনমূল কংগ্রেস। কারণ যেভাবে বাংলার জনগণ কে দু হাত দিয়ে আগলে রেখেছে তাতে বাংলাতে মমতা বন্দোপাধ্যায় ২০২১শে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেই।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।